স্বাধীনতার স্বাদ কেমন? জানতে আজ আমরা এসেছি যুদ্ধের আঙিনায়। কথায় বলে যুদ্ধ যারা চায় তারা যুদ্ধে যায় না। যুদ্ধে যারা যায়, তারা যুদ্ধ চায় না। সুন জু বলেছিলেন রক্তক্ষয় না করে শত্রুকে দমন করাই সর্বশ্রেষ্ঠ রণনীতি।এদিকে রক্ত না ঝরলে ইতিহাসের মোড়ও যে ঘোরে না? একটা পলাশীর যুদ্ধ ছাড়া কেমন করে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য পাটে বসত?
স্বাধীনতার স্বাদ
স্বাধীনতার স্বাদ ঠিক কেমন ছিল? রক্ত ঘাম চোখের জলের মতো? নোনতা? রসমঙ্গল সমগ্রে আজ স্বাধীনতার স্বাদ দ্বিতীয় পর্ব। আমাদের এই পর্ব আজ স্বাধীনতার স্বাদ খুঁজতে রসবতী থেকে নামবে মিছিলে, দাঁড়াবে শাসকের উদ্যত লাঠির সামনে, দৌড়বে সত্যাগ্রহ থেকে সশস্ত্র বিপ্লবের মাঝখানে। মধ্যরাতে আসা স্বাধীনতা, উপনিবেশের ভূত তাড়ানো স্বাধীনতা। তার স্বাদের খোঁজ পাওয়া সোজা কথা নয়!
পনেরই আগস্ট, ১৯৪৭, মধ্যরাত্রি। পৃথিবীর মানচিত্রে উদয় হল এক স্বাধীন দেশ, ভারতবর্ষ। স্বাধীন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বক্তৃতাটি দিয়ে জওহরলাল নেহরু উপস্থিত সবাইকে মতিচুরের লাড্ডু বিতরণ করে খাইয়েছিলেন। স্বাধীনতার প্রথম স্বাদ- মিঠে না হয়ে যায় না। তিনি কি জয় হিন্দ সন্দেশের স্বাদ জানতেন? বা জয় হিন্দ বরফি? নিদেন পক্ষে নেহরু সন্দেশ?