কথকতার ছলে জীবনের গল্প বলে মেয়েদের দল Mad Balikas
শ্রুতি নাটক - হৃদমাঝারে
এডগার অ্যালান পো’র ছোটগল্প “The Tell-Tale Heart” অবলম্বনে শ্রুতিনাটক
সিরিজ: গা ছমছম | নাট্যরূপ: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশিত: 22 অক্টোবার 2022 | সময়কাল: 17 মিনিট 22 সেকেন্ড
চরিত্রলিপি:
  • কথক | পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • বুড়ি | সোমা দে
  • ঝর্ণা | অয়ন্তিকা দাস মণ্ডল
  • পুলিশ | সুস্মিতা দাস

ভূমিকা

এডগার অ্যালান পো’র ছোটগল্প “The Tell-Tale Heart” একটি বিখ্যাত সাইকোলজিক্যাল হরর থ্রিলার। এই কালজয়ী গল্প যদি নেমে আসে লকডাউনের বেকারত্ব নিয়ে অবসাদে ভোগা চেনা মানুষের অচেনা হিংস্র আচরণে, যদি একলা থাকা বৃদ্ধাকে সহজে ডাইনী বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে কেমন হতে পারত? সেই অনুমানে নির্মিত ভয়ের শ্রুতিনাটক হৃদমাঝারে। নাটকের কিছু সংলাপ রইল এখানে।

নির্বাচিত চিত্রনাট্য

গান

তোমায় হৃদমাঝারে রাখব ছেড়ে দিব না

বুড়ি

অ গৌর, গৌর আমার। কোথায় গেলি রে? বড় শীত লাগে গৌর। তা ঘুমালি নাকি বাছা? অ গৌর। শুয়ে পড়লি?

কথক

বুড়ি আবার ডাকছে। ধোর, ডেটা প্যাকও শেষ। ডবকা মালটার ভিডিও দেখছিলাম, এখন ঘুরেই যাচ্ছে, ঘুরেই যাচ্ছে। ও ডাইনী বুড়ি নজর দিয়েছে শিওর। ধ্যার, মরেও না বুড়ি।

বুড়ি

অ গৌর, গোপাল আমার! ঘুমালি বাছা?

কথক

কী? ব্যাপারটা কী? ক্যাঁক ক্যাঁক করে চেল্লাচ্ছ কেন বুড়ি? তোমার পেয়ারের গৌর বেঁচে নেই, কোনকালে মরে হেজে গেছে। যত ভীমরতি।

বুড়ি

অ্যাঁ? অ মানিক, জানলাটা বন্ধ করে দে না বাছা। খটখট শব্দ হয়, আমার তরাস লাগে।

কথক

অ্যাহ, নাকি তরাস লাগে। কিসের এত ভয় তোমার?

বুড়ি

ও মা, খাটের নীচে আমার গয়নার পুঁটুলি আছে, যদি - যদি চোর ডাকাতে নিয়ে যায়?

কথক

তোমার গয়না কে ছোঁবে? চোর ডাকাতেরও প্রাণের মায়া আছে। তোমার মত অপয়া লোকের নজর পড়লে তাকে আর ঐ সোনাদানা ভোগে লাগাতে হবে না। ক্কী - কি হল? অ-অমন করে ড্যাবড্যাব করে কী দেখছ, অ্যাঁ?

বুড়ি

তোর বৌকে আমার হারটা দেব। একটা হার আছে আমার, বুঝলি?

কথক

রাখো তোমার হার। এই যে, জানলা বন্ধ, এবারে হয়েছে তো? চুপচাপ শুয়ে পড় এবার, আমাকে রেহাই দাও।

বুড়ি

অ গৌর, ছেড়ে দিব না। তোমায় হৃদমাঝারে রাখিব - (ফেড আউট)

কথক

বুড়ি একেবারে শকুন-চোখ দিয়ে দেখছিল। সালা, আমার না কিছু হয়ে যায়। বহুত পাপ করেছিলাম আর জন্মে, তাই এমন ফেঁসে গেছি। সালার লকডাউনে সেই যে চাকরিটা চলে গেল, আর কিছু লাগছেই না। বাড়িভাড়া বাঁচানোর চক্করে এই অপয়া বুড়িটার খপ্পরে পড়লাম, আর চাকরি হয়? গ্রামে ফিরব তার তো আর উপায়ও নেই, রূপাবৌদির সঙ্গে কেস করে এসেছিলাম, আমায় দেখতে পেলে পুঁতে রেখে দেবে।

উফফ, কেন যে মরতে এই বুড়িটার আস্তানায় এলাম। দুবেলা ডালভাত খেতে পাই, বদলে ও বুড়ি শকুন-চোখ দিয়ে আমার রক্ত চুষে খায়, আমি দিব্যি বুঝতে পারি। ডাইনী, ডাইনী। বুড়ি পাক্কা ডাইনী আছে।

হার! আমার বৌকে নাকি হার দেবে। ওর গয়না কে ছোঁবে? আচ্ছা, ওর একটা চোখ ওরকম কটা আর ঘোলাটে, কেন? ছোটবেলায় গল্প শুনেছি, ডাইনীদের এরকম হয়। বুড়ি সত্যিই ডাইনী?

(রিংটোন)

হ্যালো, হ্যালো। হ্যাঁ, আপনাকে কল করেছিলাম স্যার। আপনি বলেছিলেন একটা কাজ দেবেন স্যার, তাই - অ্যাঁ? লোক পেয়ে গেছেন? হ্যাঁ? আপনার চেনা লোক? ও আচ্ছা। আমার তাহলে, হল না? স্যার, বাইকটা তো চালাতে পারি না, নইলে ডেলিভারির কাজটা - হ্যালো? একটু - একটু দেখবেন স্যার। হ্যালো?

সালা এই কাজটাও ভোগে গেল। জানতাম। বারের ঠাকুরের পুজো দিলাম, মাদুলি নিলাম, তাতেও হল না। ঐ ডাইনীর শয়তান চোখে পড়েছি, আর আমার কি হবে? কি হবে! আ-আমি বাঁচব তো?

বুড়ি - বুড়িটাকে যদি ম্-মেরে ফেলি? অ্যাঁ? ডাইনী মরলে আমার ওপর আর নজর দিতে পারবে না, হ্যাঁ? আর - আর, ডাইনী বুড়ি মরে গেলে তখন ঐ সোনা গয়নায় দোষ কী? এই বাড়িতে দোষ কী? অ্যাঁ?

তাহলে? বুড়িটাকে মেরে ফেলি?

দেখি, কী করছে। ঘুমিয়েছে ডাইনীটা? দেখি?

ঝিমোচ্ছে না ঘুমোচ্ছে?

(দরজার ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ)

বুড়ি

কে? কে? ও কি শব্দ হয়? অ গৌর! ও গোপাল!

কথক

বুড়ি জেগে আছে? এখন না। ওয়েট করি।

বুড়ি

কি শব্দ হল যেন? ইঁদুর টিঁদুর হবে। গোপালের জন্য মোয়া রেখেছি তক্তোপোশের নীচে, ইঁদুরে না খেয়ে নেয়।

কথক

কি বিড়বিড় করছে? যাব? বুড়ি যদি দেখে ফেলে?

বুড়ি

অ গৌর রে। তোমায় হৃদ-মাঝারে রাখিব, ছেড়ে দিব না। তোমায় হৃদ্-মাঝারে রাখিব। ছেড়ে দিব না। আমার যে আর কেউ নেই রে গৌর। তরাস লাগে। ছেড়ে দিলে সোনার গৌর আর তো পাব না, ছেড়ে দিব না।

কথক

এই তো, টর্চটা দেখি, হ্যাঁ। ঐ ডাইনী চোখটায় সোজা টর্চ মারব, বুড়ি আমাকে দেখতেই পাবে না।

বুড়ি

তোমায় হৃদ-মাঝারে রাখিব - আআআহ আহ, ও মা গো!

পরবর্তী অংশ শুনুন ইউটিউবে

আপনার মতামত

এর উত্তরে Some User

এই বিভাগের অন্যান্য পোস্টসমূহ

  • টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ৩ - বাঘা যতীন

    টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ৩

    বাঘা যতীন

    সিরিজ: ইতিহাস কথা কয়
    প্রকাশিত: 11 আগস্ট 2022 | সময়কাল: 21 মিনিট 38 সেকেন্ড

    1915 সালে নয়ই সেপ্টেম্বর যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীন পাঁচজন সহযোদ্ধা নিয়ে তিনশো ইংরেজ সৈন্যর সঙ্গে যুদ্ধ করেন। বালাসোরে বুড়িবালাম নদীর তীরে এই যুদ্ধ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। সেই সৈন্যবাহিনীতে টেগার্ট নিজেও ছিলেন গোয়েন্দা বিভাগের তরফে। টেগার্টের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নির্মিত শ্রুতিনাটকের কিছু সংলাপ এখানে রইল।

  • টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ২ - ননীবালা দেবী

    টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ২

    ননীবালা দেবী

    সিরিজ: ইতিহাস কথা কয় | নাট্যরূপ: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    প্রকাশিত: 10 আগস্ট 2022 | সময়কাল: 16 মিনিট 9 সেকেন্ড

    আমাদের এই চ্যাপ্টারে আছেন এক ব্ল্যাক উইডো। তিনি হলেন ননীবালা দেবী। ননীবালা দেবী। বাংলার প্রথম মহিলা রাজবন্দী। অফিসিয়ালি প্রথম থার্ড ডিগ্রী খাওয়া মহিলা রাজবন্দী ননীবালা দেবী। শরীরে দুবাটি লঙ্কাবাটা ঢোকানোর পরেও মুখ না খোলা ননীবালা দেবী।

    টেগার্টের ডায়রীর দ্বিতীয় পর্ব, নির্মিত হয়েছে বাংলার প্রথম মহিলা রাজবন্দী ননীবালা দেবীর ওপরে। শ্রুতিনাটকের কিছু সংলাপ এখানে রইল।

  • শ্রুতি নাটক - বিদূষক

    বিদূষক

    এডগার অ্যালান পোয়ের ছোটগল্প হপ-ফ্রগ অবলম্বনে শ্রুতিনাটক
    সিরিজ: গা ছমছম | নাট্যরূপ: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    প্রকাশিত: 31 অক্টোবার 2021 | সময়কাল: 26 মিনিট 25 সেকেন্ড

    এডগার অ্যালান পো “Hop-Frog” নামে একটি ছোটগল্প লিখেছিলেন, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৪৯ সালে। Hop-Frog নামের এক বামন ও বিকলাঙ্গ ব্যক্তি রাজার বিদূষক। তার একমাত্র বন্ধু ছিল ট্রিপেটা নামের এক বামন মেয়ে।রাজা ও তার সাত মন্ত্রী ছিল নিষ্ঠুর ও নৃশংস;  Hop-Frog-কে নিয়মিত অপমান করে, জোর করে মদ খাইয়ে মজা লুটত। এক বিশেষ ভোজসভায় Hop-Frog প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজে পায়।

    হপফ্রগ গল্প হরর, রিভেঞ্জ যত ততটাই মেটাফরিক। রাজা আর তার সাত মন্ত্রীর কাণ্ড দেখে মনে হয়, এরা আদৌ আটটা আলাদা লোক না একই ইউনিট? একটাই রাষ্ট্র, একটাই দফতর, একটাই কুর্সি, সেইরকম না তো? ফ্যাসিজম তো অনেকটা ঐ রাজার মতন, ক্ষমতার মদে দিশেহারা হয়ে যাকে তাকে কামড়ে দেয়। তো কে পারে তার শোধ তুলতে? কী হয় শোধ তোলার পরে? কেমন হয় যদি এই বিন্দুগুলো ঘুরে যায়? পাওয়ার স্ট্রাকচারে যে যেখানে সে সেভাবে তার স্বৈরাচার চালিয়ে যায়, যতক্ষণ তার মেয়াদ। সিংহাসন তার কাজ করে যায়। এইটুকুই?

    এই উত্তরগুলো খুঁজেছি আমরা এই গল্পের অনুপ্রেরণায় লিখিত শ্রুতিনাটক বিদূষকে। এখানে নাটকের অংশবিশেষ রইল সংলাপ আকারে।

  • শরতের খোলা খাম ব্যানার

    শরতের খোলা খাম

    সিরিজ: গল্প-গাছা | নাট্যরূপ: তৃণা চক্রবর্তী, পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    প্রকাশিত: 10 অক্টোবার 2021 | সময়কাল: 59 মিনিট 32 সেকেন্ড

    সাদিক হোসেন, সাকিন মুর্শিদাবাদ

    অনামিকা মিত্র, সাকিন উত্তর কলকাতা

    রাজযোটক যে নয় সাদিক-অনামিকা তা জানতে কোষ্ঠীবিচার লাগবে না। দুর্গ্রহলগ্নে ওদের জন্ম। তাই তো নেট পরীক্ষা দিতে গিয়ে পাশাপাশি সিট পড়ে। সময় বুঝে কালি খতম হয়ে যায় সাদিকের। ঝট করে পেন বাড়িয়ে দেয় পাশ থেকে অচেনা অনামিকা। ডটপেনের মূল্যবাবদ পরীক্ষার পরের চা আর প্রজাপতি বিস্কুটটা অফার করে সাদিক। তারপর? অনামিকার গালে টোল পড়ে, সাদিকের গিটারে বোল ধরে, কাশফুলে লাগে দোল। যা হবার তাই হয়। অথচ তখন সদ্য নয়ের দশক। বাবরি মসজিদ অক্ষত। ভাবা যায়?

    সাদিক অনামিকার প্রেমটা বেশিদিন টেকেনি। কিন্তু টেঁকসই প্রেম ঠিক কেমন? এই যে প্রতি পুজোয় এরা এখনও একজন আরেকজনকে মনে করে চিঠি লেখে, লিখে সে চিঠি রেখে দেয় যার যার ডায়রিতে, এটা প্রেম, না অন্য কিছু? এই চিঠি আর কিছু গান কবিতা নিয়ে শ্রুতিনাটক শরতের খোলা খাম। কিছু চিঠি থাকল এখানে আপনাদের জন্য।

  • মধুর বসন্ত - গীতি-কবিতা আলেখ্য

    মধুর বসন্ত - গীতি-কবিতা আলেখ্য

    সিরিজ: গল্প-গাছা | রচনা: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    প্রকাশিত: 13 মার্চ 2022 | সময়কাল: 34 মিনিট 32 সেকেন্ড

    মাধবী পাহাড় ডিঙিয়ে বেড়ায়। পূজা অ্যাম্বুলেন্স চালায়। রেশমী স্টান্টলেডি ছিল, এখন চোট পেয়ে বসে গিয়ে ক্লাউড কিচেন চালায়। মনোদিদি সমাজের ভ্যালিডেশনের উল্টোদিকে থাকে, লোকে যাকে বলে পাগল। মনোদিদি মন ভালো করতে কবিতা পড়ে। মালতী বেকার মানুষ, মাধবীর জন্য সমাজ-বিরুদ্ধ সমপ্রেম নিয়ে বসে থাকে। শ্যামলী গিগ কর্মী, অ্যাসিড এটাক ভিক্টিম থেকে সার্ভাইভার হবার লড়াই করে যায়। শতভিষা এয়ারফোর্সে আছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে গিয়ে কোনো এক মাধবীর সন্ধান পায় সে। এই মেয়েদের বসন্ত যাপনের গল্প যা কিনা শ্রেণিভেদে সমান্তরাল হবার কথা ছিলো তা মিলে যায় কোনও অপ্রত্যাশিত প্রতিচ্ছেদে। এই নিয়ে গীতি-কবিতা আলেখ্য মধুর বসন্ত, সেই সমস্ত মেয়েদের জন্য, যে যেখানে লড়ে যায় আমাদেরই লড়া। কথনের কিছু অংশ রইল এখানে।

  • টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ১ - বিনয় বাদল দীনেশ

    টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ১

    বিনয় বাদল দীনেশ

    সিরিজ: ইতিহাস কথা কয় | নাট্যরূপ: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    প্রকাশিত: 23 জানুয়ারী 2022 | সময়কাল: 23 মিনিট 21 সেকেন্ড

    গল্পটা আমাদের মোটামুটি চেনা। ইতিহাস বইয়ে বিনয় বাদল দীনেশের অলিন্দ যুদ্ধের আখ্যান পড়েনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অথচ ব্রিটিশ রাজ যে তাঁদের দেগে দিচ্ছে আর্বান ডাকাত বলে, তা খুব একটা জানা কথা নয়। বিনয় বোস যখন গুলি খেয়ে হাসপাতালে, কমিশনার টেগার্ট সশরীরে গিয়ে বিনয় বোসকে দর্শন দিয়ে এলেন। পরের দিন দেখা গেল বিনয়ের আঙুলের গাঁটগুলো সব ভাঙা।

    অগ্নিযুগে বিপ্লবের জানা-অজানা কাহিনী নিয়ে ব্রিটিশ পুলিশ অফিসারের দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি শ্রুতিনাটক টেগার্টের ডায়েরি। চ্যাপ্টার ১ নির্মিত হয়েছে বিনয়-বাদল-দীনেশের রাইটার্স অভিযানের ওপরে। শ্রুতিনাটকের কিছু সংলাপ এখানে রইল।

  • শ্রুতি নাটক - মেঘমল্লার

    মেঘমল্লার

    বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে শ্রুতিনাটক
    সিরিজ: গা ছমছম | নাট্যরূপ: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    প্রকাশিত: 18 জুন 2022 | সময়কাল: 36 মিনিট 46 সেকেন্ড

    মেঘমল্লার বিভূতিভূষণের প্রথম গল্পগ্রন্থ। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত এই ছোটগল্প সংকলনের একটি গল্প মেঘমল্লার।

    এই গল্পটি যথাসম্ভব অবিকৃত রেখে আমরা এর নাট্যরূপ দিয়েছি। এখানে নাটকের অংশবিশেষ রইল সংলাপ আকারে।

  • টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ৪-৬

    টেগার্টের ডায়েরি চ্যাপ্টার ৪-৬

    নেতাজির উত্থান, চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ, হিজলী জেল হত্যাকাণ্ড এবং প্যালেস্টাইনের আরব বিদ্রোহ

    সিরিজ: ইতিহাস কথা কয় | নাট্যরূপ: পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
    প্রকাশিত: 12 আগস্ট 2022 | সময়কাল: 1 ঘন্টা 3 মিনিট 44 সেকেন্ড

    স্বাধীনতার ইতিহাসটা হয়ত কুখ্যাত টেগার্টের চোখ দিয়ে দেখলে, মাষ্টারদা সূর্য সেন, সুভাষ বোস, বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স এবং অন্যান্য বিপ্লবীরা কি সংগ্রাম করেছেন তার আঁচ পাওয়া যায়। নেতাজির উত্থান এবং চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ থেকে হিজলি জেল হত্যাকান্ড নিয়ে সশস্ত্র বিপ্লবের ঘূর্ণিপাকের কেন্দ্রে এই শ্রুতিনাটক।কলকাতার পুলিস কমিশনার টেগার্ট তাঁর সাফল্যমণ্ডিত ইনিংসের বর্ণনা শেষ করে ইন্ডিয়া থেকে রওনা দেবেন প্যালেস্টাইন। আরব বিদ্রোহীদের সায়েস্তা করার টার্গেট নিয়ে।